ধূমপান দেহের প্রতিটি অঙ্গকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। সিগারেটের মূল নেশাদায়ক উপাদান নিকোটিন এক প্রকারের স্নায়ুবিষ (নিউরোটক্সিন), যা একধরনের অ্যাসিটাইলকোলিন রিসেপ্টরের (কোলিনার্গিক অ্যাসিটাইলকোলিন রিসেপ্টর) ওপর কাজ করে।
কিন্তু তামাকের ধোঁয়াতে নিকোটিন ছাড়াও নানা ক্যান্সারপ্রদায়ী পদার্থ থাকে, যেমন বেঞ্জোপাইরিন ইত্যাদি বহুচক্রী আরোমাটিক যৌগ। তামাক বা নিকোটিন গ্রহণ করলে তা শরীরের প্রতিটি অংশে প্রভাব ফেলে।
এটি ব্যবহারের ফলে অ্যাড্রিনালিন ক্ষরণ বেড়ে গিয়ে শরীরের উত্তাপ, হৃৎপিণ্ডের গতি ও রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। ধূমপায়ীদের শরীরে বিশেষত মুখ, স্তন, ফুসফুস, গর্ভাশয়, পাকস্থলি, কিডনি বা প্যানক্রিয়াসে ক্যান্সারের প্রবল আশঙ্কা থাকে। যারা অন্যভাবে তামাক ব্যবহার করে তাদের ক্ষেত্রে মুখ, পাকস্থলি, ইসোফেগাস, ল্যারিংস ও প্যানক্রিয়াসে ক্যান্সার হতে পারে।
তা্ই সুস্থ থাকতে হলে ধূমপান ছাড়াতে হবে।আসুন জেনে নেই ধূমপান ছাড়ার ৫ কৌশল-
১. প্রথমে ঘরবাড়ি পরিষ্কার করুন। কারণ বাড়ি থেকে সিগারেটের গন্ধ দূর হওয়া চাই। না হলে আবার ধূমপানের ইচ্ছে হতে পারে।
২. যারা ধূমপান করে, তাদের এড়িয়ে চলুন। পাশাপাশি ধূমপান যেসব জায়গায় হয় সেটি এড়িয়ে চলুন।
৩. কয়েক বছর ধূমপান করতে থাকলে, সিগারেটের প্রতি একটি অভ্যস্ততা তৈরি হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে চুইংগাম,লবঙ্গ, গাজর, শসা ইত্যাদিও খেতে পারেন।
৪. নিকোটিনের আসক্তি দূর করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন। প্রচুর পানি পান করলে দেহ থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর হতে সহজ হবে।
৫. ব্যায়াম করার জন্য সময় বের করুন। দিনে অন্তত ৩০ মিনিট হলেও হাঁটুন বা সাইকেল চালান বা দৌড়ান। ব্যায়াম শরীরের নিজস্ব ক্ষতিপূরণ প্রক্রিয়া ভালো রাখে।