উত্তর সিরিয়ায় কুর্দিশ ওয়াইপিজি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে তুরস্কের সামরিক অভিযানে এ পর্যন্ত এক লাখ মানুষ স্থানচ্যুত হয়েছে। রাস আল আইন এবং তাল আবিয়াদ এ দুটি শহর থেকে অভিযান শুরুর পর লোকজন বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচীর বরাতে ভয়েস অব আমেরিকার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ব্রিটেনভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলছে, তুরস্কের এই অভিযানের কারণে বেসামরিক মানুষ নিহতের সংখ্যা এখন ৩০ জনে গিয়ে পৌঁছেছে।
চলমান অভিযানে শনিবার সীমান্তবর্তী শহর রাস আল আইন নিয়ন্ত্রণে নেয়ার দাবি করেছে তুরস্ক। তুর্কি সমর্থিত সিরিয়ার বিদ্রোহীরা ওই অঞ্চলটি দখলে নিয়েছে বলে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন সিরিয়ার উত্তর পূর্বাঞ্চলে কোবানেতে একটি সামরিক চৌকির কাছে তুরস্কের গোলা গিয়ে পড়লে ঐ চৌকিটি খালি করে দেয়া হয়েছে। তবে কোবানেতে মূল চৌকি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি এবং কর্মকর্তারা বলছেন, তারা আশা করছেন ঐ সামরিক চৌকি খালি করে দেয়ার ব্যাপারটি হবে সাময়িক।
এ দিকে ন্যাটো তার জোটেরই সদস্য তুরস্ককে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
কুর্দি মিলিশিয়াদের হটিয়ে নিরাপদ অঞ্চল নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বুধবার থেকে উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় অভিযান শুরু করে তুরস্কের সেনাবাহিনী।
বুধবার ভোরের দিকে তুর্কি সেনাবাহিনীর অগ্রবর্তী দলগুলো তাল আবায়াদ ও রাস আল-আইন শহরের দুটি পয়েন্ট দিয়ে সিরিয়ায় ঢোকে বলে তুরস্কের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে ব্লুমবার্গ।
এরপর থেকে বিমান হামলা চালানোর পাশাপাশি তাদের সেনাবাহিনী ও তুর্কি সমর্থিত সিরীয় বিদ্রোহীরা তেল আবায়াদ ও রাস আল-আইনের ৪টি পয়েন্ট দিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে।
চলমান অভিযান বিমান হামলা ও স্থল অভিযান জোরালো করেছে তুরস্ক। দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা বেশ কিছু লক্ষ্যবস্তু দখল করেছে।