মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম শীর্ষ সংগঠক, জাতীয় নেতা আবদুর রাজ্জাকের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী আজ সোমবার। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সোমবার সকাল পৌনে ৯টায় বনানী কবরস্থানে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
২০১১ সালের ২৩ ডিসেম্বর লন্ডনের কিংস কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬৯ বছর বয়সে তিনি মারা যান। তিনি কিডনি রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
দলের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দলের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মী, জনসাধারণকে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার আহবান জানিয়েছেন।
এছাড়াও এ উপলক্ষে আব্দুর রাজ্জাক ফাউন্ডেশন এবং আব্দুর রাজ্জাক স্মৃতি সংসদের যৌথ উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করবেন আব্দুর রাজ্জাক স্মৃতি সংসদের সভাপতি অধ্যাপক ড.আব্দুল মান্নান চৌধুরী।
সংগ্রাম মুখর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী আব্দুর রাজ্জাক তার সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছিলেন বাঙালির স্বাধিকার, স্বাধীনতা, শান্তি ও সামাজিক মুক্তির আন্দোলনে। ছাত্রজীবন থেকে আমৃত্যু তিনি ছিলেন বাঙালি জাতির প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে প্রথমসারির সংগঠক ও নেতা।
৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ৬-দফা আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তিনি ১৯৬৬-১৯৬৭ ও ১৯৬৭-১৯৬৮ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
আব্দুর রাজ্জাক ১৯৭০ সালে প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৭৩, ১৯৯১, ১৯৯৬ এবং ২০০৯ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন। ১৯৯১, ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে ২টি করে আসনে সাংসদ নির্বাচিত হন।
তিনি ১৯৭৯ ও ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আব্দুর রাজ্জাক পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।