স্পোর্টিং সিপি’র সাথে রোনালদোর একটা আত্মার সম্পর্ক রয়েছে। পর্তুগালের এই ক্লাবের হয়েই তো প্রথম ফুটবলে পা রাখেন সর্বকালের সেরাদের একজন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। মাত্র ১২ বছর বয়সেই তিনি ‘স্পোর্টিং ক্লাব দি পর্তুগাল’ এ যোগ দেন। ২০০২ সালের ৭ অক্টোবর স্পোর্টিংয়ের হয়ে নিজের ক্লাব ক্যারিয়ারের প্রথম গোলটি করেন রোনালদো। তারপরের গল্পটা সবার জানা। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে কিভাবে ফুটবলের রাজত্বকে নিজের করে নেয়া যায়, তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ রোনালদো নিজেই।
তাইতো ক্যারিয়ারের ৭০০ গোল থেকে ঠিক ১ গোল দূরে থাকতেই পর্তুগালের এই কিংবদন্তীকে সম্মান জানাতে নিজের ইচ্ছার কথা প্রকাশ করলেন স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি ফ্রিডারিক ভেরেন্দাস। স্পোর্টিং ক্লাবের ঘরের মাঠ ‘ইস্তাডিয়ো হোসে আলভালাদে’। এই স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করে রাখা হবে ‘ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো’। এটি নিশ্চিত করেছেন খোদ ক্লাব সভাপতি। ফ্রিডারিক বলেন, ‘আমরা স্টেডিয়ামের নামটি ‘ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো’ রাখার কথা ভেবেছি। আর এতে কারও আপত্তি নাই। এটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয় হবে।’
ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেয়ার আগে ২০০২/০৩ মৌসুমে স্পোর্টিংয়ের হয়ে ৩১ ম্যাচে ৫ গোল করেন রোনালদো। স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি বলেন, ‘রোনালদো আমাদের ক্লাবের সাথে জড়িত মূল্যবান একটি বস্তু। আমরা সারাজীবন তার সাথে নিজেদের জড়িয়ে রাখতে চাই। এটা সম্মানের বিষয়।’ এছাড়া রোনালদোর নামে স্টেডিয়ামের নাম হলে তা আগামী প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করেন ফ্রিডারিক ভেরেন্দাস। তিনি বলেন,’ আমরা তাকে উদাহরণ হিসেবে রাখতে চাই। আমরা চাই আমাদের আগামী প্রজন্ম যাতে তাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তার মতো নিজেদের প্রস্তুত করতে পারে।